Logo
Logo
×

আন্তর্জাতিক

কংগ্রেসের দিল্লি প্রধান অরবিন্দর সিং পদত্যাগ করেছেন

Icon

প্রকাশ: ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ০৪:১১ পিএম

কংগ্রেসের দিল্লি প্রধান অরবিন্দর সিং পদত্যাগ করেছেন

কংগ্রেসের দিল্লি প্রধান অরবিন্দর সিং লাভলি পদত্যাগ করেছেন। আজ রবিবার তিনি পদত্যাগ করেন। পদত্যাগের কারণ হিসেবে তিনি কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক দীপক বাবারিয়ার সঙ্গে বিরোধ এবং দিল্লিতে আম আদমি পার্টির (এএপি) সঙ্গে দলের জোট বাধার ইস্যু উল্লেখ করেছেন। ভারতীয় গণমাধ্যম এনডিটিভির এক প্রতিবেদনে এ খবরটি দিয়েছে।

ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গেকে দেওয়া চিঠিতে লাভলি বলেন, তিনি যেহেতু দিল্লির কংগ্রেস কর্মীদের স্বার্থ রক্ষা করতে পারছেন না, তাই তিনি এই ইউনিটের প্রধান হিসেবে তার দায়িত্ব চালিয়ে যাওয়ার কোনো কারণ দেখছেন না। তিনি আরো বলেন, দিল্লি কংগ্রেস ইউনিট এমন একটি দলের (এএপি) সঙ্গে জোটের বিরুদ্ধে ছিল, যেটি কংগ্রেসের বিরুদ্ধে মিথ্যা, বানোয়াট ও অবিশ্বাস্য সব দুর্নীতির অভিযোগ তুলে গঠিত হয়েছিল। তা সত্ত্বেও কংগ্রেস দিল্লিতে এএপির সঙ্গে জোট করার সিদ্ধান্ত নেয়। দিল্লি কংগ্রেসের প্রধান হিসেবে তার নেওয়া বেশ কয়েকটি সিদ্ধান্তে ভেটো দিয়েছেন সর্বভারতীয় কংগ্রেস কমিটির সাধারণ সম্পাদক (দিল্লির দায়িত্বপ্রাপ্ত)। দিল্লি কংগ্রেসের সভাপতি নিযুক্ত হওয়ার পর থেকে তাকে এই শাখায় কোনো বড় পদে কাউকে নিয়োগ দেওয়ার সুযোগ পর্যন্ত দেয়নি সর্বভারতীয় কংগ্রেস কমিটির সাধারণ সম্পাদক (দিল্লির দায়িত্বপ্রাপ্ত)।

এনডিটিভি বলছে, দিল্লিতে জোটের অংশ হিসেবে কংগ্রেসকে লোকসভায় তিনটি আসন বরাদ্দ করা হয়েছিল। এর মধ্যে উত্তর-পশ্চিম এবং উত্তর-পূর্ব আসনে ‘অপরিচিতদের’ মনোনয়ন দেওয়া হয়েছিল বলে লাভলি দাবি করেছেন। এই দুই আসেন উদিত রাজ এবং কানহাইয়া কুমারকে প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করায় দিল্লি কংগ্রেসের নেতা ও কর্মীদের মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ করছে। তবে এআইসিসি এবং দলের হাইকমান্ড বিষয়টি আপস করতে প্রস্তুত নয়। এমন পরিস্থিতে দিল্লির বেশকিছু নেতা সমস্যার সমাধান না হলে বিজেপিতে যোগ দিতে পারেন বা একটি নতুন দল গঠন করার পরিকল্পনা করছেন।

উল্লেখ্য, লাভলিকে গত বছরের আগস্টে দিল্লি কংগ্রেসের সভাপতি করা হয়েছিল। তখন তিনি অনিল চৌধুরীর স্থলাভিষিক্ত হন। এর আগে ২০০৩ থেকে ২০১৩ পর্যন্ত শীলা দীক্ষিতের নেতৃত্বাধীন দিল্লির কংগ্রেস সরকারের মন্ত্রী ছিলেন লাভলি। তিনি ২০১৩ থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত তিনি দিল্লি প্রদেশ কংগ্রেসের সভাপতির দায়িত্বে ছিলেন। তবে ২০১৭ সালে তিনি কংগ্রেস ছেড়ে বিজেপিতে যান। কিন্তু ২০২৮ সালে তিনি আবার কংগ্রেসে ফেরেন।

অনুসরণ করুন