বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট : আয়ু ফুরিয়ে যাবে, খরচ উঠবে না, থেকে যাবে ঋণ!
জাবিতে চাঁদা নিল ছাত্রলীগ, শাস্তি পাচ্ছেন ভুক্তভোগী
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনার। বাংলা আউটলুক।
ঈদে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাড়ি ফেরার উদ্দেশ্যে বাসের টিকিট কাটতে নবীনগর গিয়েছিলেন ইংরেজি বিভাগের ৪৯ ব্যাচের শিক্ষার্থী সজীব মন্ডল। গাইবান্ধা রুটে চলাচলকারী আলহামরা পরিবহন অন্যান্য সময়ের তুলনায় বেশি ভাড়া চায়। বিষয়টি নিয়ে সেখানে বাকবিতণ্ডা হয়। এরপর সজীবের হলের শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকে (ডেইরি গেট) বাস আটক করেন। সজীবকে মারধর করা হয়েছে এমন অভিযোগ তুলে শাখা ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতা বাস কোম্পানির কাছ থেকে ৩৫ হাজার টাকা চাঁদা নিয়ে বাস ছেড়ে দেন। অথচ, এ ঘটনার প্রেক্ষিতে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিয়ে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীকে সাময়িক বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মো. নূরুল আলমের সভাপতিত্বে শৃঙ্খলা কমিটির এক সভায় ওই শিক্ষার্থীকে বহিষ্কারের সুপারিশ করা হয়।বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ও শৃঙ্খলা কমিটির সদস্য সচিব অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আলমগীর কবির সাংবাদিকদের এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, ঘটনাটি সজিবকে কেন্দ্র করে সংগঠিত হয়েছে বিধায় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিদ্যমান শৃঙ্খলাবিধি অনুযায়ী তাকে সাময়িক বহিষ্কারের সুপারিশ করা হয়েছে। এ ব্যাপারে ৪ সদস্যবিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্ত কমিটির মাধ্যমে দোষীদের শনাক্ত করে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রচলিত শৃঙ্খলাবিধি অনুযায়ী পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে। এতে সজিবের কোনো দায় না পাওয়া গেলে তার সাময়িক বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করা হবে।
জানা গেছে, গত সোমবার (২৫ মার্চ) বাসের টিকিট কাটতে নবীনগর গিয়েছিলেন সজীব মন্ডল। কিন্তু গাইবান্ধা রুটে চলাচলকারী আলহামরা পরিবহন সাধারণ সময়ের তুলনায় দ্বিগুণ ভাড়া চায়। বিষয়টি নিয়ে সেখানে বাকবিতণ্ডা হয়। এরপর সজীব বিষয়টি বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর হলের বন্ধুদের জানান। এরপর ওই হলের শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকে (ডেইরি গেট) আটক করেন বাস। বিকেল সাড়ে ৫টা থেকে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার মধ্যে এসব ঘটনা ঘটে। পরে মালিক পক্ষের কাছ থেকে টাকা নিয়ে বাস ছেড়ে দেয় ছাত্রলীগ নেতারা। এসময় ঘটনাস্থলে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি আকতারুজ্জামান সোহেলও উপস্থিত ছিলেন।
সেখানে থাকা ছাত্রলীগের একটি অংশ জানিয়েছে, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগের সহসভাপতি মাজেদুল ইসলাম সজীব, মাহমুদ আল গাজ্জালী, মো. হাসান মাহমুদ ফরিদ ও উপ কর্মসংস্থান সম্পাদক নাহিদ ফয়সালকে মালিকপক্ষের সাথে কথা বলতে দেখেছেন। টাকা নেয়ার ঘটনা ঘটলে তারাই সেটি নিয়েছেন।
ভুক্তভুগী সজীব মণ্ডল বলেন, আমি শুধু হলের বন্ধুদের জানিয়েছি। সেখানে কেউ রাজনীতি করে কি করে না। সে বিষয়ে আমি কিছু জানি না। আমি নিজেও কখনো রাজনীতির সাথে যুক্ত ছিলাম না।
তিনি বলেন, বহিষ্কারের বিষয়টি আমি জানি না। আমাকে অফিসিয়ালি কিছু জানানো হয়নি।
কমেন্ট